বর্তমান সময়ে হাঙ্গেরি একটি কাজের বাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত আগে হাঙ্গেরিতে মানুষ প্রবেশ করত অন্যান্য রাষ্ট্রে প্রবেশ করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে হাঙ্গেরিতেও অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যেই শুধুমাত্র সেখানে যাচ্ছে। তবে এখানে আপনারা কিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে, বেতন কত ও ভিসা খরচ কত এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।
আমাদের আজকের এই কন্টেনটি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে হাঙ্গেরি থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রের মানুষ প্রবেশ করে এবং বর্তমানে কিভাবে আপনি কাজের ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরিতে থাকতে পারবেন ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো এই কনটেন্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে আমরা উপস্থাপন করব। চলুন তাহলে দেখে নেই হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচ কত।
হাঙ্গেরিতে বেতন কত
হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বর্তমানে একজন শ্রমিকের বেতন পায় ৬৫ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ফেক্টরিতে যারা কাজ করে তাদের বেতন আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ৯০ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে একজন কর্মী। ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মত। এছাড়াও যাদের অভিজ্ঞতা আছে বিভিন্ন পেশায় তাদের বেতন ১ লক্ষ টাকার উপরে হতে পারে।
হাঙ্গেরিতে দিনে কত ঘন্টা এবং সপ্তাহে কতদিন কাজ করতে হয়
অনেকেই হাঙ্গেরিতে যাওয়ার পূর্বে অনেক রকম প্রশ্ন করে থাকেন। অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকে হাঙ্গেরিতে কতদিন কত বা কত ঘন্টা কাজ করতে হয় সে সম্পর্কে। আসুন এখন তাহলে জেনে নেই। হাঙ্গেরিতে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করতে হবে। প্রতিদিন কাজ করতে হবে মোট আট ঘন্টা করে। এর চেয়ে আপনি বেশি কাজ করলে সেটাকে ধরা হবে ওভার টাইম। ওভার টাইমের জন্য আপনাকে এক্সট্রা বেতন দেওয়া হবে। আপনি যদি ছুটির দিনে কাজ করতে চান তাহলে আপনি কাজ করতে পারবেন। ছুটির দিনে কাজ করার জন্য আপনাকে এক্সট্রা বেতন দেওয়া হবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হাঙ্গেরিতে দিনে কত ঘন্টা কাজ করতে হয় এবং সপ্তাহে কতদিন কাজ করতে হয় সেই সম্পর্কে।
হাঙ্গেরিতে বাঙালিরা কি কি কাজ করে
আপনারা অনেকে হাঙ্গেরিতে যাওয়ার পূর্বে হাঙ্গেরি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে চেয়েছেন। আবার অনেকেই জানেন না হাঙ্গেরিতে গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করে। আজকে আমরা সেই সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। চলুন তাহলে দেখে নেই কাজগুলো।
1. কন্ট্রাকশন লেবারের মধ্যে আছে রড বাইন্ডার, কার্পেন্টার, মেশিন ইত্যাদি।
2. হাঙ্গেরিতে গিয়ে বাঙালিরা সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকেন কন্ট্রাকশন লেবারের কাজ।
3. বাঙালিরা সেখানে গিয়ে ফ্যাক্টরি লেবারের কাজ করে থাকেন। ফ্যাক্টরিতে অনেক রকম কাজের জন্য অনেক রকম লেবারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
4. বাঙালিরা সেখানে গিয়ে ক্লিনারের কাজ করেন। রেস্টুরেন্ট ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার ইত্যাদি।
হাঙ্গেরিতে গিয়ে বাঙালিরা যে সকল কাজগুলো বেশি করে থাকেন সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন।
হাঙ্গেরিতে বাঙালিরা কি কি সুবিধা পায়
আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন হাংগিরিতে যে সকল বাঙালি গুলো যেয়ে থাকে সে সকল বাঙালিরা সেখানে কাজ করার জন্য কি কি সুযোগ সুবিধা পায় সে সম্পর্কে। বাংলাদেশীরা হাঙ্গেরিতে গিয়ে বেশ কয়েক রকমের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে নিচে আমরা সেগুলো উল্লেখ করবো।
1. প্রথম সুবিধাটি হল যে সকল বাংলাদেশী হাঙ্গেরিতে যাবে তারা তিন মাসের মাথায় টিআরসি পেয়ে যাবে। টি আর সি মানে হল টেম্পোরারি রেসিডেন্স কার্ড।
2. তারপর আমরা যে সুবিধা পাব তা হল হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জেনারেলি রিজেক্ট হয় না।
3. আরেকটি সুবিধা পাব তা হল হাঙ্গেরির এম্বাসি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। সেখানে আমরা সরাসরি আমাদের ফাইলগুলো জমা দিতে পারব।
4. হাঙ্গেরিতে টিআরসি পাওয়ার পরে আপনি ফ্রান্স, ইতালি ইত্যাদিতে দেশে যেতে পারবেন।
5. আমরা যখন টিআরসি পাব তখন আমরা বৈধভাবে আশেপাশের দেশগুলোতে একদম সহজভাবে যেতে পারবো। সেখানে গিয়ে আমরা কাজও করতে পারবো এবং থাকতেও পারবো।
হাঙ্গেরিতে যাওয়ার পর বাঙালিরা এ সকল সুবিধা গুলো পেয়ে থাকেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
হাঙ্গেরি ভিসা খরচ কত
বর্তমানে হাঙ্গেরিতে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আগের তুলনায় হাঙ্গেরিতে যাওয়ার প্রসেস অনেকটাই সহজ হয়েছে। তবে খরচ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা বর্তমানে হাঙ্গেরি থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ থাকার কারণে অনেকেই হাঙ্গেরিতে চলে যাচ্ছে। তাই আপনারা যদি হাঙ্গেরিতে সরাসরি কাজের নিয়োগ পেতে চান, তাহলে বেসরকারি অথবা সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যাওয়াই সব থেকে উত্তম হবে। দীর্ঘদিন যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে হাঙ্গেরি থেকে আবার অন্যান্য রাষ্ট্রেও প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে অনেক টাকা খরচ করে হলেও হাঙ্গেরিতে অনেকেই প্রবেশ করছে। কেননা হাঙ্গেরি থেকে ইউরোপ কান্ট্রির ভিতরে ঢোকার সুযোগ সুবিধা বেশি আছে। তাই প্রথম অবস্থায় যারা টুরিস্ট ভিসা বা অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রবেশ করছেন তাদের অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
হাঙ্গেরিতে কেন পড়াশোনা করবেন
1. আন্তর্জাতিক শিক্ষার জন্য রয়েছে উচ্চ কোয়ালিটির পড়াশোনার ব্যবস্থা।
2. তুলনামূলকভাবে স্বল্প টিউশন ফ্রি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
3. এখানে বিশ্বব্যাপ স্বীকৃতি ডিগ্রি প্রদানকারী ও স্বনামধন্য অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে আপনি পড়াশোনা করতে পারবেন।
4. শিক্ষা খাতে নিত্য নতুন বৈচিত্র দেখতে পাবেন।
5. স্বল্প খরচে বাস করতে পারবেন।
6. পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ সুবিধা পাবেন।
7. অনেক ধরনের কোর্স থেকে নিজের পছন্দ মত কোর্স বাছাই করে পড়তে পারবেন।
8. অসাধারণ লাইভ স্টাইলের পাশাপাশি পাবেন স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও আবহাওয়া।
9. আইইএলটিএস ছাড়াই যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পারবেন।
10. সেনজেন রিজিওনের মধ্যে হওয়ার কারণে খুব সহজেই ভালো দেশগুলোতে ট্রান্সফার পাবেন।
11. অসাধারণ রিসার্চ ফ্যামিলি রয়েছে এখানে।
হাঙ্গেরিতে বসবাসের অবস্থা কেমন
হাঙ্গেরিতে প্রায় প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের সাথে কাজ করতে পারবেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও অ্যাক্টিভিটির সাথে জড়িত থাকার সুযোগ পাবেন। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ই বিভিন্ন ধরনের সংগীত, নাচ ও সাংস্কৃতিক ক্লাব রয়েছে। বসবাসের অবস্থান এর ওপর ভিত্তি করে আপনি চাইলে প্রত্যেক মাসে ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে ভালো মানের স্টুডেন্ট হোস্টেলে থাকতে পারবেন। আর যদি প্রাইভেট ফ্ল্যাটে থাকতে চান তাহলে প্রতি মাসে আপনাকে গুনতে হবে ১৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে শুধুমাত্র খাবার খরচ পড়বে ৭ হাজার টাকার মত।
হাঙ্গেরিতে সেনজেন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
1. পাসপোর্ট (পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের বেশি থাকতে হবে )।
2. ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অত্যন্ত ৬ মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
3. সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না। আরো ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।
4. পাসপোর্টে ডাটা পেজগুলোর ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
5. জমা দেওয়া প্রতিটি কাগজের মূল কপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।
6. অত্যন্ত তিরিশ হাজার ইউরো মূল্যবানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।
7. প্রতিটি ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এড মিনিস্টেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হবে। ভিসা-সাক্ষাৎকারের পরপর এই ফি দিতে হবে।
8. শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের অনুমতি পত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে মা-বাবা অথবা অভিভাবককে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
9. আবেদন পত্রের ভাষা অথবা ফর্মের ঘরগুলো ঘরগুলো ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। সুইডিস, ডেনিস নরওয়েজিয়ান ভাষাতেও পূরণ করা যাবে।
হাঙ্গেরিতে বিজনেস ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে হাঙ্গেরিতে বিজনেস ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। এখন আমরা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব হাঙ্গেরিতে বিজনেস ভিসার জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগে। চলুন তাহলে দেখে নেই।
1. ভ্রমণকারীর হাঙ্গেরি থেকে কোম্পানির পাঠানো আমন্ত্রণ পত্রের মূল কপি প্রয়োজন হবে। এই আমন্ত্রণপত্র অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় হতে হবে।
2. বিগত তিন মাসে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব বিবরণী।
3. ভ্রমণকারী বাংলাদেশের যে কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ভ্রমণে যাচ্ছেন সে কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠানের তরফে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে লেখা চিঠি জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের জন্যেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
4. ট্রেড লাইসেন্স।
5. কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন কর্পোরেশন অথবা মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অফ এসোসিয়েশন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
6. বাংলাদেশ এবং বাইরে লেনদেনের তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )।
7. ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )।
হাঙ্গেরি যেতে কোন ধরনের ভিসা নির্বাচন করবেন
হাঙ্গেরিতে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ারে গড়ে তোলার জন্য এখানে স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত আছে। যেখানে ইতালির মতো তিন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত রয়েছে। এই তিন ধরনের ভিসা থেকে আপনার প্রয়োজনমতো ভিসা যাচাই-বাছাই করে সেটির জন্য আবেদন করতে হবে। এই তিন ধরনের ভিসা হচ্ছে-
হাঙ্গেরি স্টুডেন্ট ভিসা
এই ধরনের ভিসায় একজন রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থী যেকোনো ধরনের কোর্স করতে পারবেন। এ ছাড়া যে কোন হাঙ্গেরিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেতে হবে এবং স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে। এ ধরনের স্টুডেন্ট ভিসায় কোন স্পন্সরের দরকার পড়বে না। এ ধরনের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরিতে গিয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজও করতে পারবেন। আপনার ভিসার আবেদন ফর্মে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নাম উল্লেখ করে দিতে পারেন। কিংবা চাইলে তাদের জন্য আলাদা করেও ভিসার আবেদন করাতে পারেন। তবে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
হাঙ্গেরি স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা
এ ধরনের ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবার বর্গের কোন সদস্যকে পূর্বেই হাঙ্গেরি অথবা যে কোন সেনজেন কান্ট্রির অধিবাসী হতে হবে। এছাড়া পড়ালেখা খরচ ও বাসস্থান খরচ উঠানোর মতো যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে। এবং কমপক্ষে একুশ বছর বয়সী হতে হবে। স্পন্সর ছাড়াও এ ধরনের ভিসার আবেদন করা যায়। এ ধরনের ভিসা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম ও ফুল টাইম চাকরি করতে পারবেন। তবে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য আলাদা আলাদা ভিসার আবেদন করতে হবে। এই স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
হাঙ্গেরি স্পেশাল ক্যাটাগরি স্টুডেন্ট ভিসা
এই ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবারের যেকোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনকে হাঙ্গেরি অথবা সেনজেন কান্ট্রির অধিবাসী হতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য বীমাও থাকতে হবে। ভিসার আবেদন করার জন্য স্পন্সরের দরকার পড়বে না। এ ধরনের ভিসার কোন মেয়াদ থাকে না। পড়ালেখার পাশাপাশি যে কোন ধরনের চাকরিও করতে পারবেন। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আলাদা কোন ভিসার আবেদন করতে হবে না। এছাড়া এই ভিসায় আবেদন করতে কোন ধরনের খরচ হয় না। ভিসার আবেদন করার জন্য ইন্টারনেট থেকে ভিসার আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পাবেন।
হাঙ্গেরিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে
1. হাঙ্গেরির ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
2. আপনার অরজিনাল পাসপোর্ট এর কপি।
3. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিগুলো অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে।
4. ২৫ হাজার পাউন্ড ব্যাংক ব্যালেন্সের সাথে সেনজেন ট্রাভেলস ইন্সুরেন্সর কনফারমেশন লেটার।
5. আপনার ফ্লাইট সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য ও টিকিটের কপি।
6. কেন আপনি হাঙ্গেরিতে যেতে চাচ্ছেন এই বিষয়ের উপর একটি কাভার লেটার।
7. আপনার সিভিল স্ট্যাটাস বোঝানোর জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন পত্রের কপি।
8. রিপাবলিক অফ হাংগিরির অন্তর্ভুক্ত যেকোনো একটি হোটেল reservation এর কপি।
9. হাঙ্গেরির যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে চাইছেন সেখান থেকে লিভ এপ্রুভাল লেটারের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
10. এনরোলমেন্টের সত্যায়িত কপি।