ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়: মানব শরীরের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর শুধুমাত্র একটি উপাদান রয়েছে আর সেটা হচ্ছে ভিটামিন ই। বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসুলে বিভিন্ন মাত্রায় ভিটামিন ই দেওয়া থাকে। তবে অতিমাত্রায় ভিটামিন-ই সেবনের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের খেতে হবে।

আবার অনেকেই দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে বলে এটা একেবারে বাজে স্বভাব। সবারই একই সমস্যার কারণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই দায়ী নাও হতে পারে। তাই সবসময় ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথেষ্ট কারণ অন্য জায়গায় আপনাকে পরিমিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে। আজকের আর্টিকেলে তাই আমরা একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব সেটি হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়। তাহলে আর বেশি দেরি না করে চলুন এখনই নিচে দেখে নেয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

প্রথমত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে যে সকল উপকারিতা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল  চুলের যত্নে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের যত্নে, ভঙ্গুরতা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। যেমন ধরুন শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মুখমন্ডলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর গুরুত্ব রয়েছে অনেক বেশি। এছাড়া দীর্ঘ সময় নিজেদের শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখতে চান তাদের শরীরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যালেন্স ঠিক রাখা জরুরী।

অনেকের চুলের সৌন্দর্য রাখতে চান বা চুল পড়ে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়া চুলের কালার নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে, আপনার শরীরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যালেন্স থাকা উচিত। নয়তো আপনার চুলের যত্নে হবে না চুল পেকে যেতে পারে বা পড়ে যেতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল অকাল বার্ধক্য ঠেকাতেও কাজ করে থাকে। এছাড়াও নাইট ক্রিম হিসাবে ব্যবহার করলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার তো ভালো লাগবে, এছাড়া বন্ধ্যাত্ব তো দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কাজ করে থাকে সাধারণত শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক রাখে এবং বন্ধ্যাত্ব দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 ভিটামিন ই ক্রিম এর ব্যবহার

সাধারণত বাজারে বর্তমানে অনেক ধরনের ভিটামিন ই ক্রিম এসেছে। তবে তার মধ্যে সব থেকে মজার ব্যাপার হলো আপনি চিনতে পারবেন না কোনটা আসল ভিটামিন ই ক্রিম এবং কোনটা নকল ভিটামিন ই ক্রিম। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র ব্যবসায় স্বার্থে দেশে এই ধরনের নকল ভিটামিন ই ক্রিম তৈরি করছে এবং বাজারজাত করছে। শত তদারকির পরেও এই ভিটামিন ই ক্রিম এর ভেজাল মুক্ত করা যাচ্ছে না যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এর ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে মেয়েদের ত্বকের উপর যখন এই ভেজাল ভিটামিন ই ক্রিম প্রয়োগ করা হচ্ছে তখন তারা ক্ষতি কারক দিকগুলো বুঝতে পারছে। বিশেষ করে এলার্জি রিঅ্যাকশন ও অন্যান্য সমস্যার কারণে তাদের ত্বকের ক্ষতির আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়? প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি যদি ভিটামিন ই এ জাতীয় খাবার গুলো না রাখেন তাহলে দিনে দিনে শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনটির ঘাটতি পরবে এবং যার ফলে দেখা দিবে শারীরিক নানান জটিলতা। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়?

পেশির দুর্বলতা: শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দেখা দিলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। আর পেশি দুর্বল হওয়ার এই সমস্যাটিকে বলা হয় মায়োপ্যাথি। 

দৃষ্টির শক্তি কমে যাওয়া:  ভিটামিন ই এর  ঘাটতি দিয়ে আমাদের দৃষ্টি শক্তি কমিয়ে দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই থাকলে এটি আমাদের চোখের রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়া: ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ভিটামিন ই ত্বকের বয়সের সাফ করতে দেয় না। তাই শরীরে যদি ভিটামিন ই এর ঘাটতি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি চেহারার লাবণ্য চলে যায়।

হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে: ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ই ও আমাদের শরীরের হার এবং দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। এই কারণে যদি শরীরে ভিটামিন ই এর  ঘাটতি থাকে তাহলে আমাদের দাঁত এবং হার গঠনে সমস্যা দেখা দেয় বা দিতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।

ভারসাম্যহীনতা: শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি স্নায়ুর স্টেস দাঁড়াতে সাহায্য করে। আর এই কারণে শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি থাকলে হাঁটাচলা উঠাবসায় ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়।

স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়:  শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব ঘটলে এটি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ভিত্তিকে বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।

চুল দুর্বল হওয়া: আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই অত্যন্ত কার্যকরী। তাই শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয় এবং চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই জানি এবং জানি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরে কতটুকু উপকারী ভিটামিন। তবে ভালো দিকের পাশাপাশি প্রত্যেকটি জিনিসের খারাপ দিক আছে এবং সেই খারাপ জিনিসগুলো জানতে আজকে জানার চেষ্টা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত রূপচর্চার ক্ষেত্রে আমরা যদি অতিমাত্রায় ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের উপর ব্যবহার করি তাহলে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটা উল্টো কাজ করে।

এই ধরনের ভিটামিন ই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের শরীরে উল্টো রিয়াকশন করে এবং তাদের দাগ আরো বৃদ্ধি করে দেয়। এলার্জির প্রবলেম যাদের রয়েছে তারা একটু সতর্কতার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবেন অথবা ভিটামিন ই নিজের শরীরের উপর প্রয়োগ করবেন। এতে করে যেকোনো ধরনের এলার্জির রিএকশন থেকে আপনারা মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবনের ফলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং মাত্রা অনুযায়ী ভিটামিন ই খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং এই ভিটামিন ই খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন উন্নতি হচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়

এবার আমাদেরকে জানতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। যারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায় গুলো জানেন না তারা এ বিষয়টি জেনে নিতে পারেন। চলুন আপনাদেরকে এবার জানিয়ে দেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়। মাথার চুল লম্বা করার জন্য বেশ কয়েকটি নিয়মে আপনি ভিটামিন ই ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মাথার চুল দ্রুত লম্বা হওয়ার পাশাপাশি চুল স্বাস্থ্য উজ্জ্বল এবং সিল্কি হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে নারিকেল তেল সামান্য গরম করে মাথার ত্বকে মেসেজ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।

 যার ফলে চুল অতি দূরত্ব লম্বা হয়ে যাবে, পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করতেও এই পদ্ধতি কার্যকরী। এছাড়াও চুলের গোদ বাড়াতে আমন্ড অয়েল অথবা ক্যাস্টর অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া চুল লম্বা করতে সরাসরি মাথায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। আরো একটি উপায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে আপনি মাথার চুল লম্বা করতে পারেন, সেটি হল এলোভেরা জেল, ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি বাটিতে ভালোভাবে মিক্স করুন এবং এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া সহ সারা চলে চুলে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে এক ঘন্টা। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল খুব দ্রুত লম্বা হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

হয়তো অনেকেই মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। তাই এই প্রশ্নের মাধ্যমে আজকে তাদেরকে জানানো হবে মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়মগুলি সম্পর্কে। আপনি যদি মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। রূপচর্চার জন্য মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে।

লিপবাম:  লিপসিল বা ভেসলিন এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে এটি আপনি লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। লেফট রেগুলার আপনি এইভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঠোঁটের ব্যবহারের মাধ্যমে মসৃণ,কমল ও গোলাপি ঠোঁট পাবেন।

স্কিন সিরাম:  ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি নাইট সিরাম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভিতর থেকে এর তেল বের করে সরাসরি মুখের ত্বকে আলতো ভাবে মেসেজ করুন। ড্রাই এবং নরমাল স্কিনের জন্য আদ্রতা ধরে রাখতে খুব ভালো কাটছে। মুখের ত্বকে ভিটামিন ই তেল ব্যবহারের সময় হালকা মেসেজের পর হাত দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য চেপে চেপে বসিয়ে নিন।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে: চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার জন্য আমন্ড অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে অত্যন্ত ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং আমন্ড অয়েল পুরো সহকারে চোখের নিচে ব্যবহার করুন। কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনার চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে। কালো দাগ দূর করতেও মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য এলোভেরা জেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল এর সাথে ভিটামিন এ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল  সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

নাইট ক্রিম: ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরের তেল এবং এলোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে নিন এবং সকালে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। নাইট ক্রিম হিসেবে এলোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত ভালো কাজ করে। এছাড়াও যে কোন ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে এটি নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহার করার উপকারিতা

ভিটামিন ই বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় এবং আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ভিটামিনটি। আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন, যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে বা চুল অতিরিক্ত পাতলা এবং চুলের গোড়া দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রায়ই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি চুলের উপর দিতে বলেন। তবে অবশ্যই বাজারে থাকা ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলোর মধ্যে যাচাই বাছাই করে ভালো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। যেটা থেকে বের হওয়া তেল আপনার চুলের জন্য উপকারী হবে এবং আপনার চুল আগের থেকে আরও বেশি সুন্দর হবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

 ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুলএর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে পোষ্টের উপরের অংশে আমরা এর অপকারিতা গুলো জেনেছি। তাই এবার আমরা জানবো ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর  অপকারিতা সম্পর্কে। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের ঘাটতি পূরণ করে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও এর কিছু পার্থক্য প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে। 

তাই এবার আমরা জানবো ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অপকারিতা সম্পর্কে। যদি আপনি ভুলবশত বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো সেবন করে ফেলেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার যে সকল শারীরিক জটিলতা দেখা দিবে সেগুলো হলো, যখন আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো সেবন করবেন তখন অবশ্যই এর পূর্বে ক্লিনিক্যালি টেস্ট করে অথবা ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। এর কারণ হলো আপনি যদি এই বিষয়গুলো না জেনেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করা শুরু করেন আর আপনার শরীরে যদি ভিটামিন না থাকে তাহলে শরীরের  ভিটামিন ই এর মাত্রাতিরিক্ততা আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও শরীরে  ভিটামিন ই এর ঘাটতি না থাকার ফলে আপনি যদি ভিটামিন এ জাতীয় ক্যাপসুলগুলো গ্রহণ করেন, তাহলে অতিরিক্ত ভিটামিন ই এর কারণে চোখে এলার্জি এবং আমাশয় এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়? ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পরে এতটুকু নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, শরীরে ঘাটতি থাকলে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করা উচিত। আমাদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই মজুদ থাকে তাহলে এটি সেবন না করে তখন চুলের ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা ভালো।

Read More