দুবাই যেতে কত টাকা লাগে, ভিসার দাম কত ও বেতন কত

জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যেকেরই বেছে নিতে হয় কর্মস্থান। বাইকের চাকা যারা ঘোরানোর জন্য বেছে নেই প্রবাস জীবন এবং এর মধ্যে পাড়ি জামায় দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি শহর হল দুবাই। আমরা সবাই চিনে থাকি দুবাই নামে। আমাদের বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী দুবাইয়ের আয়তন এর জনসংখ্যার হার ৪০ লক্ষের বেশি। 

অনেক প্রবাসী রয়েছে  এর মাঝে যারা দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করার জন্য সেই দুবাই গিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির দিক সচল রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা রয়েছে। তাই দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন সচল থাকতে বৈধভাবে আমাদের এই বাংলাদেশে টাকা পাঠান।  আমরা যারা দুবাই প্রবাসী এবং যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে দুবাইয়ের দিরহাম এবং বর্তমান টাকার রেট সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। তাহলে এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই টাকা রেট সম্পর্কে।

দুবাই থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

এই ডিজিটাল যুগেও অনেক সময় অনেক দুবাই প্রবাসী ভাইয়েরা আছেন যারা প্রশ্ন করে থাকে কিভাবে ডুবাই থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাবো। সেই সকল প্রবাসী ভাইদের বলছি দুবাই থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই বিকাশ এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন। দুবাই সকল প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা আপনাদের আশেপাশে থাকা বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে খোঁজখবর নিতে পারেন। কোথাও কোথাও দুবাই বিকাশের এজেন্ট রয়েছে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজেই আপনারা বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। অল্প পরিমাণ টাকা লেনদেনের জন্য এবং  দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে বিকাশ ব্যবহার করতে হবে।

এখনো দুবাইতে অনেক প্রবাসী রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত জানেন না কিভাবে দুবাই থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়। আশা করি এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যারা জানেন বিকাশে টাকা পাঠাতে জানেন না তারা অবশ্যই শিখতে পেরেছেন কিভাবে দুবাই থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো হয়।

দুবাই টুরিস্ট ভিসা যেতে কত বয়স লাগে

যেকোনো বয়সের মানুষ টুরিস ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে পারবে। তবে নির্ধারিত হিসেবে বলতে গেলে ১৮ বছরের উর্দ্ধে যারা আছে তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা করা হয় না। তবে যারা ১৮ বছরের আগের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ভেরিফিকেশন সহ ইমিগ্রেশন প্রসেস এ ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। তাই যারা ১৮ বছরের পরে দুবাইতে টুরিস্ট ভিসা নিবেন তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়াও যেকোনো ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অথবা স্টুডেন্টরা এবং অন্যান্য ধরনের বিজনেস ভিসা করার জন্য যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো চাওয়া হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো চাওয়া হয় সেগুলো সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে হবে। নির্ধারিত ডেট অফ বার্থ রয়েছে সেই অনুযায়ী কিন্তু মিল থাকতে হবে। তারপরে আপনি দুবাইয়ের যেকোনো ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে নির্ধারিত ডেট অফ বার্থ অনুযায়ী যদি কিছুদিনের কম বেশি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে জটিলতা আসতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী এবং আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে তৈরি করবেন সে মাধ্যমে ভালোভাবে জেনে নেবেন।

দুবাই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে

স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া লাগে। এবং সেই সাথে আপনি যে কলেজে অথবা ইউনিভার্সিটি পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন সেই ইউনিভার্সিটি থেকে একটি ইনভাইটেশন লেটার দেখাতে হবে। তারপরে আপনি দুবাইয়ের স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে পারবেন ।এবং সেই সাথে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দুবাই দূতাবাস এর মাধ্যমে সত্যায়িত করে তারপরে দুবাইয়ের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু লিংক দেওয়া আছে, সেগুলো জেনে তারপরে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য আগের তুলনায় কিছুটা পদ্ধতি বদলানো হয়েছে। তাই অবশ্যই বর্তমানে রিসেন্ট যে পদ্ধতিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে, সেই বিষয়গুলো অবশ্যই ভালোভাবে ফলো করতে হবে।

দুবাই কাজের ভিসা যেতে কত বয়স লাগে

একজন শ্রমিকের দুবাইয়ে কাজের ভিসায় যেতে কমপক্ষে তার পাসপোর্ট এর ডেট অফ বার্থ এর বয়স অনুযায়ী ২২ বছর পূর্ণ হতে হবে। তাছাড়াও কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া থাকে, বয়স সীমার একটি নির্দিষ্ট লিমিট দেওয়া থাকে। এর মধ্যেই ওই সমস্ত কোম্পানিগুলোতে কাজের ভিসা দিয়ে থাকে। তাই বলা হয় ২২ বছরের পর থেকেই যেকোনো ধরনের শ্রমিক  ভিসা নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে আপনি যেই কোম্পানিতে যাবেন সেই কোম্পানিতে কত বছর বয়স থেকে কাজে নিয়োগ দেয়া হয় সে বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিবেন।

অনেক কোম্পানিতে অভিজ্ঞ লোকদের যাওয়ার জন্য বয়সসীমা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি যেই কোম্পানির মাধ্যমে দুবাইয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন সেই বিষয়টি ভালো মতো জেনে নিবেন যে নির্দিষ্ট বয়স সীমা কত এবং কত বছরের এক্সপেরিয়েন্স দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি একবার ভালোমতো জেনে নেওয়ার সবথেকে উত্তম হবে।

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

যারা ভাবছেন দুবাই যাবেন কাজের জন্য কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না ২০০৮ সাল থেকে এখনকার সরকার কাজের জন্য  বাংলাদেশীদের কোন ধরনের ভিসা প্রদান করছে না। এর পরেও অনেকেই অনেকভাবে সেখানে গিয়ে কাজের সন্ধান করে থাকেন। বিশেষ করে ভিজিট ভিসায় গিয়ে সেখানে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে সেখানে চাকরি নিয়ে থাকে। আর এর জন্য কত টাকা খরচ হয় অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন। আমি যদি দুবাই যেতে চাই তাহলে আমার কত টাকা খরচ হবে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সি বা দালাল যারা আছে তাদের উপর নির্ভর করে আপনাদের কত টাকা খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটু কম বা বেশি হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিমান বাড়ার উপরেও নির্ভর করে বিদেশ যাওয়ার খরচ। তো স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায় যে কেউ যদি তিন মাসের ভিজিট ভিসায় যেতে চায় সেক্ষেত্রে তার এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে এর চেয়ে অতিরিক্ত টাকা লাগলে ধরে নিন আপনার কাছ থেকে বেশি নিয়েছে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

যদি আপনি দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত? দুবাই কোম্পানির হিসাব বেতন সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ আপনি কোন কোম্পানিতে বা কোন কাজের জন্য যাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার বেতন। তবে আনুমানিক ডুবাই কোম্পানির হিসাবে বর্তমানে   ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেই কোম্পানির যদি ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ের হয়ে থাকে তবে আপনার বেতন সব সময়ের জন্য ৫০ হাজার টাকার উপরে থাকবে। আর আপনি যদি ছোটখাটো কোন কোম্পানিতে কাজ করেন তবে আপনার বেতন ৫০ হাজার টাকার নিচে থাকবে। তবে আপনি যদি দুবাইতে কাজের জন্য গিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই পূর্বে থেকে জেনে রাখবেন আপনার কাজের ধরন কেমন, বেতন কত দিবে এবং কত ঘন্টা ডিউটি করা লাগবে সেই সকল সম্পর্কে।