মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচসহ যাবতীয় তথ্য

অসংখ্য দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে পৃথিবীর সুন্দরতম একটি দেশ মালদ্বীপ। মালদ্বীপ গঠিত হয়েছে ছোট ছোট প্রায় অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে । আইল্যান্ড হল মালদ্বীপের সবথেকে আকর্ষণীয় একটি জায়গার নাম। যা মালদ্বীপের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশ ভ্রমন করতে যারা পছন্দ করে তাদের অধিকাংশ মানুষ মালদ্বীপ ভ্রমণ করে থাকে। প্রতিবছর প্রায় অসংখ্য মানুষ আমাদের এই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ করার জন্য যায়। শুধু আমাদের বাংলাদেশ থেকেই নয় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য দেখতে যায়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা সৌন্দর্য ভোগ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মালদ্বীপ যেতে হবে। তাহলে আপনাকে আগে মালদ্বীপ যাওয়ার সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। আশা করি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত এবং ভিসা খরচ কত ইত্যাদি। তাহলে আর দেরি না করে এখনই দেখে নেই মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচ কত।

Table of Contents

মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে

মালদ্বীপ টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে আপনাকে মিনিমাম ১০০ ডলারের মত খরচ করতে হবে। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে আপনার তিন লক্ষ টাকার মত খরচ পড়বে। এক্ষেত্রে আপনার আনুষঙ্গিক বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ একটা ভাবে প্রদান করা লাগবে। শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসার জন্য ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য দুই বছর, চার বছর এবং ৬ বছর মেয়াদী পর্যন্ত আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন। তাছাড়াও বিজনেস ভিসার জন্য অন্যান্য রিকোয়ারমেন্ট আছে।

মালদ্বীপ টুরিস্ট ভিসা টিপস

মালদ্বীপ যাওয়ার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে নিচে সেগুলো দেওয়া হল। চলুন তাহলে দেখে নিন-

1. আপনি যদি জব করেন তাহলে NOC এবং বিজনেস করলে কার্ড এবং স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট কার্ড সাথে রাখবেন।
2. মালদ্বীপ যাওয়ার আগে টিকেট বুকিং করে রাখুন যাতে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাবে।
3. মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগে থেকে কোন প্রকার ভিসা নিতে হয় না। এখানে ৩০ দিনের অন এরাভাল ভিসা দেওয়া হয়।
4. শীতকালে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস হলো মালদ্বীপ যাওয়ার সঠিক সময় তবে আপনি যদি অফ সিজনে মালদ্বীপ যেতে চান তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে।
5. মালদ্বীপের যে সমস্ত টুরিস্ট এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করলে কিছুটা অফার পেতে পারেন।
6. আপনি যদি একটু সিজনে মালদ্বীপ যান তাহলে মাস খানেক আগে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখবেন, যাতে পরে গিয়ে কোন ঝামেলা না হয়।
7. ঢাকা থেকে মালদ্বীপে পৌঁছাতে রাত হবে এই কারণে মালদ্বীপে একটু কম দামি হোটেলের রাত কাটিয়ে নেবেন। এতে করে আপনার খরচ একটু কম হবে।
8. মালদ্বীপ যেতে হয় শ্রীলঙ্কা ঘুরে। এই কারণে যদি সময় পান তাহলে শ্রীলংকাও ঘুরে দেখতে পারবেন।

মালদ্বীপে ভিসার দাম কত

আপনারা যারা মালদ্বীপে যেতে চান তারা জানতে আগ্রহী মালদ্বীপে কাজের ভিসার দাম কেমন সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই মালদ্বীপের ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আপনি তিন লাখ টাকা দিয়ে খুব সহজেই মালদ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন। এই টাকার মধ্যেই আপনার ভিসা প্রসেসিং ফ্রি সহ যাবতীয় খরচ এবং বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য যে সকল খরচ হয়েছে সবকিছু মিলিয়ে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি মালদ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালদ্বীপের ভিসার দাম কত।

মালদ্বীপে কাজের বেতন কত

নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে কাজ করতে যাবার কারণ উন্নত জীবন যাপন করা এবং অর্থ উপার্জন করা। তাই আমাদের যাবার পূর্বে জানা উচিত সে দেশে গিয়ে আমরা কত টাকা উপার্জন করতে পারব। আমরা যেহেতু মালদ্বীপে যাব বলে ভাবছি সুতরাং এ তথ্যটিও আমাদের জন্য জরুরী। মালদ্বীপে আপনি কাজ করে মাসে আয় করতে পারবেন ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকার। কাজের উপর উপর নির্ভর করে বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি উন্নত কাজ করেন তাহলে বেশি বেতন পাবেন। আর যদি আপনি নরমাল কাজ করেন তাহলে বেতন একটু কম পাবেন।

মালদ্বীপ যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে

আপনারা অনেকে রয়েছেন যে মালদ্বীপে কাজ করার জন্য যেতে চান। অনেকেই জানতে চান মালদ্বীপে যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই মালদ্বীপে যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

1. আপনার অবশ্যই একটা পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
2. এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে।
3. ছবির প্রয়োজন হবে।
4. আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তবে আপনার স্টুডেন্ট কার্ডের প্রয়োজন হবে।
5. করোনা টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
6. পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
7. মেডিকেল রিপোর্ট।
8. পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

মূলত এর সকল ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয় মালদ্বীপ যেতে হলে।

মালদ্বীপে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনারা যারা মালদ্বীপে কাজ করতে চান তারা অনেকেই জানতে চান মালদ্বীপে কোন কাজের চাহিদা বেশি। চলুন জেনে নেই মালদ্বীপে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি কাজ হয় পর্যটন ক্ষেত্রে। মালদ্বীপে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঘুরতে আসেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের হোটেলের কাজের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন-

1. ক্লিনার এর কাজ।
2. সেভ এর কাজ।
3. কিচেন হেলপার।
4. ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
5. ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

এই কাজগুলো ছাড়াও মালদ্বীপে আরো অন্যান্য কাজ রয়েছে । আপনারা সেখানে গিয়ে এই কাজগুলো না করে অন্যান্য কাজগুলো ও করতে পারবেন। তবে সকল কাজের চাহিদা এক রকম নয়। যে কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সেই কাজগুলোর উপর দক্ষ হয়ে গেলে আপনি দ্রুত কাজ পাবেন।

বাংলাদেশ টু মালদ্বীপ বিমান ভাড়া কত

মালদ্বীপ একটি পর্যটক দেশ হওয়ায় এখানে থাকা এবং খাওয়া খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যাওয়া এবং ঘুরে আসতে মোট খরচ হবে ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মত। তবে এটি নির্ভর করবে আপনি কোন বিমানে যাবেন এবং কোন ধরনের হোটেলে থাকবেন। তারপর যদি আপনি লাক্সারি হোটেলে থাকেন তাহলে খরচ একটু বেশি হবে। তবে এভারেজ ভিজিটর এর জন্য ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০০০০ টাকার মতোই লাগবে। এছাড়াও মালদ্বীপ শহরে এক রাত দুইজন থাকতে খরচ হবে ৩০০০ টাকা থেকে সাত হাজার টাকা এবং আপনি যদি আইল্যান্ড এর কাছাকাছি হোটেলে থাকেন তাহলে খরচ হবে পনেরো হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মতো। সব মিলিয়ে মালদ্বীপে তিনদিন দুই রাত থাকলে মোট খরচ হতে পারে প্রায় এক লক্ষ টাকার মতো। তবে যাওয়ার আগে আপনি মালদ্বীপ টুর এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।

মালদ্বীপ কেন যাবেন

মালদ্বীপ বর্তমানের টুরিস্ট স্পট এর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান দখল করে রেখেছে। তাই এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষ আসছে এতে করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি হচ্ছে। যেমন বর্তমানে মালদ্বীপের ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে অনেকেই আছে যারা কাজ করছে। অথবা বিভিন্ন ধরনের বিজনেস ভিসা নিয়েও তারা কাজ করছে অনেক ফলমূলের দোকান অথবা রিসোর্ট এ কাজ করছে। তাই এই সমস্ত কাজের সুযোগ নিতে হলে অবশ্যই মালদ্বীপে যেতে হবে। তা না হলে বিজনেস করার অথবা কাজ করার সুযোগ পাবেন না। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় বর্তমানে মালদ্বীপে কাজ করার জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মালদ্বীপে কি কি কাজ পাওয়া যায়

মালদ্বীপের ড্রাইভিং, রান্নার কাজ, ক্লিনিং পদের কাজ, রেস্টুরেন্টের কাজ এবং মালির কাজ সহ কয়েক ধরনের কাজ চালু আছে। এ সমস্ত কাজ করে আপনি মাসে এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মালদ্বীপে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে আপনাকে মালদ্বীপে প্রবেশ করতে হবে। তা না হলে আপনি ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন না এবং আপনার কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম থাকবে। তাই উচিত হবে ভালো হয়ে তারপরে মালদ্বীপে যাওয়া।

মালদ্বীপে গেলে কিভাবে কাজ পাবেন

মালদ্বীপের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কোম্পানি রয়েছে। তা ছাড়াও তাদের গভমেন্ট জব ওয়েবসাইট গুলোতে খুব সহজে কাজের জন্য আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি স্টং সিভি তৈরি করা লাগবে। আর সেই ছবিতে যদি আপনার জীবন বৃত্তান্ত এবং আপনার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন সহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো দিয়ে যদি আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনাকে ফোনের মাধ্যমে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে মেসেজ পাঠাবে। আর এইভাবে আপনি মালদ্বীপে কাজ সংগ্রহ করতে পারবেন।

মালদ্বীপে কাজের ভিসার জন্য আবেদন 

কেউ যদি মালদ্বীপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে আগমনের সময় নিতে হবে। এবং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কর্মীদের একটি বৈধ নিয়ম অনুমোদন চাইতে হবে। লিখিত বৃত্তির মাধ্যমে প্রবাসীদেরকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি মেডিকেল চেকআপ এর মাধ্যমে তারা ভিসা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবে। সেই সাথে আপনার প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট এবং বায়োডাটা জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। এবং এই সমস্ত কাগজ পাতি দিয়ে আপনি কাজের ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

মালদ্বীপে কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

বর্তমানে মালদ্বীপে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ। একটি ব্যাপার আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মালদ্বীপে প্রবেশ করতে পারেন তাহলে কাজ পাওয়া অনেক টাকা সহজ। সেখানে কয়েকটি স্কেল এর উপর ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব আছে। ড্রাইভিং জানা থাকলে সেখানে ড্রাইভিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি খুব সহজে ড্রাইভিং এর কাজ করে মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজের সুবিধা আছে। যেমন শেফেরে কাজ করে আপনি নিজেই ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলের মাধ্যমে আপনারা পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। রেস্টুরেন্টে শেফের কাজ করে মাসে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনাকে দক্ষ একজন রান্নার কাজ জানতে হবে।

মালদ্বীপ পর্যটন ভিসা

যদি কোন ব্যক্তি পর্যটনের জন্য মালদ্বীপে যান তাহলে একটি পর্যটক ভিসার আবেদন করতে হবে। বিশ্বের সমস্ত দেশ মালদ্বীপ সরকার দ্বারা আগমনের পরে ভিসা পায়, যা ৩০ দিনের জন্য ভালো। বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য পর্যটন ভিসা অনুরোধের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ৬০ দিনের জন্য একটি এক্সটেনশন পেতে পারে। যাই হোক বর্তমান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে দুই দিন আগে অনুরোধটি পৌঁছাতে হবে। আগমনের পরে ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা গুলি নিম্নরূপ।

1. ভ্রমণের তারিখের পরে, পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য শেষ হওয়া উচিত নয়।
2. ভ্রমণকারীদের তাদের অবস্থান কভার করার জন্য পর্যাপ্ত নগদ নিয়ে দেশে পৌঁছানো উচিত।
3. মালদ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার জন্য যাত্রীর একটি বিমানের টিকিট প্রয়োজন।

অতিথির অবশ্যই দেশে তাদের উপস্থিতি প্রমাণিত ডকুমেন্ট থাকতে হবে। মালদ্বীপে আগমনের পর্যটন ভিসার অনুমোদনের জন্য নিম্নলিখিত গুলি হল।

1. ভ্রমণের তারিখের পরে কম পক্ষে ছয় মাস বাকি সহ একটি পাসপোর্ট।
2. মালদ্বীপ ছাড়ার বিমানের টিকিট।
3. প্রার্থীর দুই কপি ছবি।

ব্যবসার জন্য মালদ্বীপ ভিসা

একজন ব্যক্তি যদি ব্যবসা করতে মালদ্বীপে যায় তবে একটি ব্যবসায়িক ভিসার আবেদন প্রয়োজন। মালদ্বীপ সহকারী কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল এন্টারপ্রাইজটিকে আগেই অনুমতি দেওয়া। মালদ্বীপে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। চলুন তাহলে সেগুলো দেখে নেই।

1. প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নিবন্ধন নিশ্চিত করার একটি নথি।
2. আবেদনকারীর পরিদর্শনের লক্ষ্য, তারা তাদের এলাকায় কত সময় কাজ করেছেন এবং তারা কোথায় থাকবেন তা সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে যোগ্যতার প্রশংসাপত্র।
3. পাসপোর্ট এর বায়োডাটা পৃষ্ঠার একটি নকল।
4. একটি বিবৃতি বা আবেদনকারীর স্বাস্থ্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

পরিবার এবং বন্ধুদের দেখার জন্য মালদ্বীপ ভিসা

যদি একজন ব্যক্তি পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে মালদ্বীপে যায়, তাহলে তারা পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। একটি পরিবার অথবা বন্ধুদের দেখার জন্য ভিসার অনুমোদিত হতে নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে।

1. ভ্রমণের তারিখের পরে কমপক্ষে 6 মাস বাকি সহ একটি পাসপোর্ট।
2. প্রার্থী রা দুই কপি ছবি লাগবে।
3. মালদ্বীপ ভিত্তিক আত্মীয় বা বন্ধুর কাছ থেকে আমন্ত্রণের একটি চিঠি যা প্রয়োজন।
4. মালদ্বীপ ছাড়ার বিমানের টিকিট।
5. পর্যটকদের  তাদের ভ্রমণের খরচ কভার করার জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকা প্রয়োজন।
6. জাতিতে বাসস্থানের প্রমাণ।

Read More