রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচ কত

ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া এখন একটি স্বপ্নের মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপের যে কোন দেশের ভিসা ইচ্ছা করলেই পাওয়া যায় না কারণ ইউরোপের ভিসা পাওয়ার জন্য কঠিন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইচ্ছে করলে আপনি ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত একটি দেশ রোমানিয়াতে খুব সহজে যেতে পারবেন।

আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়বেন। পোস্টটি হল রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচ কত সহ ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি রোমানিয়ার সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর বেশি দেরি না করে চলুন নিচে থেকে দেখে নেই।

Table of Contents

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে আপনি যে কোম্পানির হয়ে যাবেন সেই কোম্পানি আপনার ব্যয় বহন করবে। সাধারণত রোমানিয়ার যেতে সরকারিভাবে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত লক্ষ টাকা লাগতে পারে। এছাড়াও ভিসার ধরন অনুযায়ী আপনার রোমানিয়া যেতে আরো কম বেশি টাকা লাগতে পারে।

কত টাকা লাগবে রোমানিয়া যাওয়ার সময় এটা ভিসা অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। যেমন-রোমানিয়া যাওয়ার কয়েক ধরনের ভিসা এখন চালু রয়েছে। তবে রোমানিয়াতে যেতে একেক ভিসায় একেক পরিমাণে টাকা লাগতে পারে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসায় রোমানিয়া যেতে আলাদা আলাদা পরিমাণে টাকা লাগে। যে ভিসায় আপনি রোমানিয়ায় যাবেন, সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে টাকা লাগবে।

তবে সরকারিভাবে যদি আপনি রোমানিয়া যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার টাকা কম লাগবে। আর যদি আপনি দালালের সহযোগিতা নেন সে ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনারে পরিচিত যদি কেউ রোমানিয়াতে থাকে তার সাহায্য সহযোগিতায় অনেক কম টাকায় রোমানিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন।

রোমানিয়ায় মাসিক বেতন কত

যে কোন কাজের জন্য রোমানিয়ায় বেতন ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা অধিক পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি আপনি রোমানিয়াতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এতে করে আপনার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আপনি তাদের কাছ থেকে বেশি বেতন নিতে পারবেন। আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিক্তি করে রোমানিয়ায় বেতন ৫ লক্ষ টাকা অব্দি হতে পারে।

রোমানিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

যারা বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় পড়ালেখা করতে চাচ্ছেন অবশ্যই তাদের রোমানিয়ার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে হবে। যদি আপনি সেই দেশে পড়ালেখার করার সুযোগ পান তাহলে আপনার বেশি টাকা খরচ হবে না। স্টুডেন্ট ভিসায় রোমানিয়াতে যেতে 70 থেকে 75 ইউরো পর্যন্ত খরচ হবে। আর এই সামান্য খরচে আপনি পড়ালেখা করতে পারবেন। আর যদি আপনি স্কলারশিপ না পেয়ে বেসরকারিভাবে পড়ালেখা করতে চান রোমানিয়াতে, তাহলে চার লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

রোমানিয়ায় টুরিস্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

রোমানিয়া ইউরোপের অন্যতম সুন্দর একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া ভ্রমণ করার জন্য টুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা খুব সহজে পাওয়া যায়। ভ্রমণ করার জন্য রোমানিয়ায় অনেক স্থান রয়েছে সে সকল স্থানগুলো পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণ এবং জায়গা গুলো অনেক সুন্দর। ভ্রমণ করার জন্য তাই এই দেশ আকর্ষণীয় একটি দেশ। তাই বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগবে।

রোমানিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে চান তাহলে ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। কিন্তু বিভিন্ন ভিসা এজেন্সি ভেদের টাকার পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। আর যদি আপনি সরকারি ভাবে রোমানিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ৫ লক্ষ্য থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

রোমানিয়ায় বিজনেস ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

রোমানিয়াতে বিজনেস ভিসায় যেতে চাইলে আপনার খরচ পড়বে ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আর যদি আপনি সরকারিভাবে বিজনেস করতে যেতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগবে। আমাদের বাংলাদেশ থেকে বাহিরে গিয়ে বিজনেস করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। এজন্যই প্রতি বছর বিজনেস করার জন্য এবং নিজেকে সাবলম্বী করার জন্য রোমানিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকেই।

রোমানিয়ায় ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসায় রোমানিয়া যেতে চান তাহলে ৬ লক্ষ থেকে সাত লক্ষ টাকা লাগবে। অবশ্যই এর ক্ষেত্রে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ড এবং দক্ষ ড্রাইভিং জানতে হবে। তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং রোমানিয়াতে যেতে পারবেন। আর রোমানিয়াতে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং অন্যান্য কাজের তুলনায় ড্রাইভিং কাজের বেতনও অনেক বেশি। তাই আপনারা চাইলে ড্রাইভিং ভিসায় রোমানিয়াতে যেতে পারেন।

রোমানিয়া ভিসার দাম কত 

রোমানিয়া ভিসার দাম ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে আপনি কোন ভিসায় রোমানিয়াতে যেতে চাচ্ছেন এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভিসার দামের উপর। এক এক ক্যাটাগরির ভিসার দাম এক এক রকম। এখন আমরা আপনাদেরকে জানাবো রোমানিয়া ভিসার দাম কত? চলুন তাহলে নিজে থেকে নেওয়া যাক-

ভিসা ক্যাটাগরি

দাম

স্টুডেন্ট ভিসা

৭০ থেকে ৭৫ ইউরো (স্কলারশিপ পেলে), ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা (বেসরকারিভাবে)।

টুরিস্ট ভিসা

৪ লক্ষ্য থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা (সরকারি খরচ), ৮ লক্ষ্য থেকে ১০ লক্ষ টাকা (দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে)।

বিজনেস ভিসা

৫ লক্ষ্য থেকে ৬ লক্ষ টাকা ( সরকারিভাবে), ৮ লক্ষ থেকে  ১০ লক্ষ টাকা (বেসরকারিভাবে)।

ড্রাইভিং ভিসা

৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।

 

রোমানিয়ার টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

রোমানিয়া দেশের টাকা বাংলাদেশের টাকার রেট অনুযায়ী প্রতিদিন কম বেশি হয়ে থাকে। তবে রোমানিয়া দেশের ১ টাকা আর আমাদের বাংলাদেশের ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২২ টাকা অব্দি থাকে। যদি আপনি রোমানিয়া থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠান, সে ক্ষেত্রে আপনি ২০ টাকার উপরে রেট পাবেন।

রোমানিয়াতে যেতে কত বয়স লাগে

আপনি যদি রোমানিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটে যেতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। তবে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় কিংবা স্টুডেন্ট ভিসায় রোমানিয়াতে যেতে চান তবে যেকোনো বয়স হলেই চলবে তাতে কোন সমস্যা নেই। আর এসব ভিসায় রোমানিয়াতে যেতে বয়সের কোন বাধা নেই। আর যদি আপনি কাজ করার জন্য রোমানিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনার ১৮ বছর হতে হবে এবং আপনার জাতীয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট থাকতে হবে।

রোমানিয়ায় যাওয়ার সহজ উপায়

রোমানিয়া সরকার বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বড় সংখ্যক জনগণ নিয়োগ দিচ্ছে। আমাদের দেশ থেকেও অনেক জনশক্তি রোমানিয়া দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এই দেশ থেকে অন্য দেশে জনশক্তি আমদানি ও রপ্তানি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঠিক তেমনিভাবে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগে যোগাযোগ করতে হবে। আবার যদি আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তি রোমানিয়ায় কর্মরত থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে রোমানিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

কিন্তু পরিচিত যাদের কোন লোক নেই, তাদের জন্য সর্বশেষ ঠিকানা হল বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আপনি চাইলে এই বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে রোমানিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনাকে এজন্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা বলছি, কারণ এখানে বর্তমানে রোমানিয়ার ভিসা নিয়ে অনেক প্রতারণা হতে যাচ্ছে। এমন অনেক প্রবাসী আছে যারা দালাল সংস্থার ফাঁদে করে অনেক টাকা ধরা খেয়েছে। এজন্যই আমি আপনাদের বলছি রোমানিয়ায় যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করবেন।

রোমানিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

যে সকল মানুষ আমাদের মধ্যে কাজ কিংবা চাকরি করার উদ্দেশ্যে রোমানিয়াতে পাড়ি জমাতে চান অনেক সময় তারা আমাদের কাছে জানতে চান যে, কোন কাজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি রোমানিয়াতে। তো যারা আপনারা জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য বলে রাখি যে, রোমানিয়াতে বর্তমানে এখন অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যে কাজগুলোর চাহিদা রোমানিয়াতে অনেক বেশি রয়েছে। আর সে কাজগুলো নিচে দেওয়া হল-

1. সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং।
2. কম্পিউটার অপারেটর।
3. গার্মেন্টস অপারেটর।
4. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
5. ওয়েটার।
6. কন্ট্রাকশন।
7. কৃষি কাজ।
8. হোটেল।

তো বর্তমান সময়ে রোমানিয়াতে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে উপরে আমরা সেগুলো উল্লেখ করে দিয়েছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আর যে সকল ভাই এবং বোনেরা কাজ করার জন্য রোমানিয়াতে যেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলছি উপরের এই কাজগুলোতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। কেননা এই কাজগুলো আপনি যদি শিখে যেতে পারেন তাহলে রোমানিয়াতে যেয়ে আপনার পছন্দ মতো চাকরি করতে পারবেন।

সরকারিভাবে রোমানিয়ায় যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় যাওয়ার জন্য আপনাকে রোমানিয়ার কোম্পানির নিয়োগ গুলোতে আবেদন করতে হবে। রোমানিয়ার অনেক কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। সেই ওয়েব সাইটে আপনারাও রোমানিয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পেয়ে যাবেন।

তবে এখন আমরা মূল আলোচনায় আসি, আলোচনাটি হল কিভাবে সরকারিভাবে রোমানিয়া যাওয়া যায়। যদি আপনি সরকারিভাবে রোমানিয়ায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই রোমানিয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে। এবং আপনার যোগ্যতা অনুসারে জবের জন্য আবেদন করতে হবে। আর বাংলাদেশী নাগরিকদের রোমানিয়া ভিসা আবেদন পত্র ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়া এম্বাসির কনসুলার বিভাগে গিয়ে জমা দিতে হবে।

তবে রোমানিয়া ভিসা টিম কিছুদিন আগে বাংলাদেশের অবস্থান করে ভিসার আবেদন গ্রহণ করেছিল। বর্তমান সময়ে ভারতের দিল্লিতে আবার রোমানিয়ার এম্বাসিতে আবেদন করতে হবে। এম্বাসি থেকে বলা হয়েছে যে সকল ভিসা আবেদনকারীদের ই-ভিসা এবং কাজের পারমিট প্রক্রিয়ার আবেদনের তারিখের উপর ভিত্তি করে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। আপনার ইন্টারভিউ এম্বাসিতে সরাসরি নেয়া হবে। আপনি ইন্টারভিউ ইংরেজি কিংবা রোমানিও কোন ভাষায় দিবেন সেটা অবশ্যই আবেদনকারীকে আগে জানিয়ে দিতে হবে।

শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদেরকে অনেক উপকার দিবে। যদি আপনারা কেউ রোমানিয়াতে যেতে চান তাহলে উপরে সকল তথ্য দেওয়া আছে তথ্যগুলো পড়ে নিবেন এবং আপনার বন্ধুবান্ধব যদি যেতে চায় তাদেরকে এ তথ্যটি জানিয়ে দিবেন। রোমানিয়ায় যেতে কত টাকা লাগবে, ভিসা খরচ কত, বেতন কত, বয়স কত লাগবে ইত্যাদি সকল তথ্য উপরে দেওয়া আছে। আমাদের কাছ থেকে আরো নতুন নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Read More