সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা, যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ আমরা আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছিএই পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে শেয়ার করবেন। পোস্টটি হল সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা ২০২৩। অনেকে আপনারা  সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। তাহলে আর বেশি দেরি না করে চলুন নিচে থেকে দেখে নেওয়া যাক সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত

সবাই বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কোন কোম্পানির  ভিসায় যাওয়ার আগে বেতন সম্পর্কে জানতে চায়।সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন রকম বেতন ধরা হয়ে থাকে। যারা আপনারা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন, সৌদি আরবের কোন কোম্পানিতে বেতন কত। কোম্পানি ভিসায় আলাদা আলাদা বেতন রয়েছে।

সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন- লেবার ভিসায় বেতন এক রকম এবং ড্রাইভিং ভিসায় ও সুপারমার্কেট ভিসার বেতন আরেক রকম। তাই আজকে আমরা এই পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার বেতন কত। চলুন তাহলে নিচে থেকে দেখে নেওয়া যাক।

1. লেবার ভিসার বেতন ৮০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল পর্যন্ত।

2. ড্রাইভিং ভিসার বেতন ২০০০ থেকে ৫০০০রিয়াল পর্যন্ত।

3. সুপার মার্কেট ভিসার বেতন ১২০০ থেকে ১৪০০ রিয়াল পর্যন্ত।

আশা করি আপনারা তাহলে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার বেতন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে

যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পরিপূর্ণ বয়স হতে হবে। অনেক মানুষ আছে তাদের বয়স কম হওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে না। আবার অনেকেই সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বয়স সম্পর্কে জানতে চায় ।বর্তমান সময়ে যদি আপনি সৌদি আরবের ভিসা করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর হতে হবে অর্থাৎ আপনার এনআইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট এ ২১ বছর পূর্ণ না হলে ভিসার জন্য আপনি কখনোই আবেদন করতে পারবেন না।

সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

অনেকেই আছেন আপনারা সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু আপনারা জানেন না প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে এখন আপনাদের জানিয়ে দেবো। যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিম্নের কাগজপত্র গুলি জমা দিতে হবে।

1. ছয় মাস মেয়াদ সম্পূর্ণ সচল পাসপোর্ট।

2. অবশ্যই আপনার ২১ বছর সম্পূর্ণ এন আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।

3. করোনার ভ্যাকসিনের সনদপত্র।

4. পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সনদপত্র।

5. ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ( সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)।

6. মেডিকেল ফিটনেস এর সনদপত্র।

7. আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র।

8. বি এম আই টি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

আপনাদেরকে এখন জানাবো সৌদি আরবে কোন কাজে গেলে আপনি টাকা বেশি উপার্জন করতে পারবেন। সবাই চায় বেশি টাকা বেতনের কাজ করার জন্য। অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরবের ভিসা করে থাকে কিন্তু কি ভিসা করলে তারা বেশি টাকা বেতন পাবে সে সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দিব সৌদি আরবের কোন কোন কাজের বেতন বেশি। চলুন তাহলে নিচে থেকে দেখে নেওয়া যাক।

1. কনস্ট্রাকশন এর কাজ।

2. ড্রাইভিং এর কাজ।

3. ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।

4. ডাক্তারে এর কাজ।

5. ব্যাংকার এর কাজ।

6. রেস্টুরেন্ট এর কাজ।

7. আইনজীবী এর কাজ।

সৌদি আরবের কোম্পানির নাম

আমি এখন আপনাদের মাঝে সৌদি আরবের কোম্পানির নাম জানাবো। সৌদি আরবে স্বনামধন্য অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে যেখানে অনেক বাংলাদেশী সহ বিশ্বের অনেক মানুষ এ কোম্পানিতে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির নাম  জানতে চায়। অনেকেই কোম্পানির ভিসা করার জন্য সৌদি আরবের ভালো কোম্পানির নাম গুলি জানতে চায়।

1. আল বদর কোম্পানি।

2. পেপসি কোম্পানি।

3. আল ইমামা কোম্পানি।

4. সাসকো কোম্পানি।

5. বিনলাদেন কোম্পানি।

6.আরমকো কোম্পানি।

7. আল খায়ের কোম্পানি।

8. বলদিয়া কোম্পানি।

9. ইনিশিয়াল কোম্পানি।

10. আলমারাই কোম্পানি।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত

আপনাদেরকে এখন সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। অনেক মানুষ আছে যারা ফ্রি ভিসা সম্পর্কে কিছু বোঝেনা এবং ফ্রি ভিসার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে চায়। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি সৌদি আরবের কোন বাড়ির কাজ বা অন্যান্য কাজ যারা করে থাকে সেটাকে ফ্রি ভিসা বলে থাকে।  ফ্রি ভিসায় অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

যেমন যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় তিন লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে আপনি অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনার যদি সাড়ে তিন লক্ষ বাজেট থাকে তাহলে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

সৌদি আরব রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের রেস্টুরেন্ট ভিসায় যেতে চান  সেখানে পরিশ্রম কম এর বদলে বেশি বেতন। যার কারণে সৌদি আরবে রেস্টুরেন্ট ভিসায় যেতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। সৌদি আরবের রেস্টুরেন্ট ভিসার অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এ রেস্টুরেন্টে কাজ করলে হোটেলে থাকা এবং খাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট ভিসার খরচ অনেকটাই কম। অনেকেই জানতে চেয়ে থাকে সৌদি আরব রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন কত। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি সৌদি আরব রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন হচ্ছে  ১২০০রিয়াল থেকে ২০০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশী ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫৮ হাজার টাকার মতো।

সৌদি আরব সুপারমার্কেট ভিসা বেতন কত

সৌদি আরবে যারা সুপারমার্কেট ভিসা যেতে চান তারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন সুপার মার্কেট ভিসা বেতন কত। সৌদি আরব সুপার মার্কেট অফিসার পদের বেতন হচ্ছে  ১২০০ রিয়াল থেকে  ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত এবং কাজের সময় হচ্ছে ১০ ঘন্টা। এর বাহিরে আপনি ওভারটাইম কাজ করতে পারবেন, ওভারটাইমের জন্য আলাদাভাবে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। যারা সৌদি আরবে সুপারমার্কেট ভিসায় যেতে চান তাদের সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। যদি আপনার ২১ বছরের কম বয়স হয় তাহলে আপনি সুপার মার্কেট বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন না।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসার বেতন কত

বর্তমানে সৌদি আরবে ক্লিনারের বেতন হচ্ছে ৬০০ রিয়াল থেকে ১০০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশী টাকায় ১৭ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার মত পরে। যারা সৌদি আরব ক্লিনার ভিসায় যায় তাদেরকে ৬০০ রিয়ালের নিচে বেতন দেওয়া হবে না এটা সৌদি আরবের একটা আইন। তাই সৌদি আরবের ক্লিনার ভিসার বেতন সর্বনিম্ন ৬০০ রিয়াল। এবং সেখানে থাকা কোম্পানি বহন করবে এবং খাওয়া নিজের টাকায় খেতে হবে।

তাই আপনারা যারা সৌদি আরব  ক্লিনার ভিসায় যেতে চান তারা ভেবেচিন্তে যাবেন। কেননা সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার বেতন ১০০০ রিয়াল আপনার সেই টাকা থেকেই খাওয়া  বাবদ বিভিন্ন খরচ করে ৬০০ রিয়াল থেকে ৭০০ রিয়াল পর্যন্ত থাকে প্রতি মাসে। তাই আপনারা যারা সৌদি আরবে ক্লিনার বিষয়ে যেতে চান তারা ভেবে চিন্তে কাজ করে তারপর  আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।