মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় – সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টাকা আয়

অনেকের মাথায় এরকম প্রশ্ন ঘুরে থাকে। আসলেই কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় বা কিভাবে আমি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করব। কত টাকা আয় করা যায়, সব কাজ কি আমি মোবাইল দিয়ে করতে পারবো। যাদের মাথায় এমন প্রশ্ন আছে তাদের জন্য আমি এই পোস্ট থেকে সকল উত্তর এবং সহজ রাস্তা বলে দিব। তাদের উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। আর এর জন্য আপনাকে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অল্প পরিশ্রম করতেই হবে। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

আজ আমরা আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। পোস্টটি হলো মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। মোবাইল দিয়ে কি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে ফলো করুন এই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম এর এই লেখাটি। এটিতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করবেন তা নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব। তাহলে আর বেশি দেরি না করে এখনই দেখে নেই কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

একাধিক উপায় রয়েছে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার। আপনার হাতে যদি একটি মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে এখনই আপনি নেমে পড়তে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য। নিম্নে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ দেওয়া হলো।

1. ব্লগিং করে।
2. ফিনল্যান্সিং করে।
3. ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে।
4. অনলাইন টিউশন করে।
5. ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে।
6. রিসেলিং ব্যবসা করে।
7. মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম।
8. অ্যাপস দিয়ে মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করা।
9. ড্রাইভিং করে।
10. মাইক্রো ওয়ার্ক সাইট থেকে।
11. ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে।
12. ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে।
13. ইনস্টাগ্রাম থেকে।
14. ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা।

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম

অনলাইনে প্রতিনিয়ত ইনকামের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ইন্টারনেটে লেখার চাহিদাটা অনেক। সে ধারাবাহিকতায় আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে অনায়াসে চালু করতে পারবেন একটি ব্লগ। ব্লগিং শুরু করে গুগল ইনকাম সার্ভিস এডসেন্স অনুমোদন হলেই শুরু হয়ে যাবে আপনার ইনকাম এর পথ। ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখা শুরু করতে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার বা ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর ধীর স্থির ভাবে কপিরাইট মুক্ত অর্থাৎ ইউনিক পোস্ট করুন। প্রতিদিন মানসম্মত, তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখুন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন। গুগল এডসেন্স অনুমোদন বা অ্যাপ্লিক হয়ে গেলে গুগল কর্তৃক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে। এতে আপনাকে google কিছু পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রদান করবে যার পরিমান গুগল বিজ্ঞাপনের মূল্যের ৬৮% আপনাকে পেমেন্ট করবে। এছাড়া ব্লগে স্পন্সরড এবং অ্যাপিলিয়েট এর মাধ্যমেও উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। এই মুহূর্তে যদি আপনি এই অর্থ খরচ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে অন্যের ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা এমন নয় যে, সরকারিভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা। একটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে টাকা ইনকাম করাকে বলা হয় ফিনল্যান্সিং। বিভিন্ন ফিনল্যান্সিং সাইট আছে যাতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিছু কাজ তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

1. কন্টেন্ট রাইটিং।
2. ব্লগ কমেন্টিং।
3. কপিরাইটিং।
4. ট্রান্সলেশন।
5. ফোরাম পোস্টিং।
6. ট্রান্সক্রিপশন।
7. প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং।
8. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি।

ইউটিউব ভিডিও করে টাকা ইনকাম

হয়তো আপনি এখন ভাবছেন ইউটিউব ভিডিও কি নিয়ে বানাবেন? বর্তমানে ইউটিউবে প্রায় সকল ধরনের ভিডিও এর চাহিদা এবং ভিউয়ার অনেক বেশি। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট বা দক্ষ সে বিষয়ে নিয়ে ক্রমাগত ভিডিও তৈরি করতে থাকুন একদম প্রফেশনাল ভাবে। দেখবেন এক সময় আপনার ভিডিও থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। গুগল এডসেন্স সংযুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে টাকা আয় করতে পারবেন। গুগলের এ পদ্ধতির নাম হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজ এর যোগ্য হতে যা যা প্রয়োজন তা নিম্নে দেওয়া হলো।

1. সর্বশেষ ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
2. আপনার চ্যানেলে মোট ১ হাজার সাবস্ক্রাইব হতে হবে।

উপরে উল্লেখিত দুটি শর্ত পূরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব হতে আপনার ইনকাম শুরু হবে। এছাড়াও আপনার এই ইউটিউব চ্যানেল হতে আরো দুটি পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি হলো আপনার চ্যানেল কিছুটা ভাইরাল বা বড় হলে বিভিন্ন কোম্পানি স্পন্সর করতে তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সমূহ এতেও আপনার অনেক ইনকাম বেড়ে যাবে। আরেকটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণের কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করাও সম্ভব।

অনলাইন টিউশন করে টাকা ইনকাম

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। যদি আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন সে ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়াশোনার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। অনলাইন টিউশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন। যা বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং খুব ভালো বুঝেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ রয়েছে তাও আবার মোবাইল দিয়ে। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন।

ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে টাকা আয়

এখনকার সময় কোন মানুষের ক্যামেরা ব্যবহার করার কোন দরকারই হয় না। প্রযুক্তির বিবর্তনে আজ প্রত্যেকেরই হাতে ভালো ক্যামেরা ফোন রয়েছে। এই ফোন ব্যবহার করেই ভালো ছবি বা ভিডিও করাও সম্ভব। পরবর্তীতে এই ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনার শখের বসে একটি ছবিও হতে পারে আপনার টার্নিং পয়েন্ট। শুরু হয়ে যেতে পারে আপনার ইনকাম করার পথ। তাই ফটোগ্রাফা বা ভিডিও বিক্রি অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। যা আমরা নিচে উল্লেখযোগ্য সাইডের তালিকাভুক্ত করলাম।

1. শাটার স্টক।
2. আইএম।
3. ফোপ।
4. স্নাপওয়্যার।
5. ড্রিমসটাইম।

এ জাতীয় সাইটে ছবি ভিডিও কেনাবেচার হয়ে থাকে। একটি ছবি হতে পারে আপনার ইনকামের প্রধান সোর্স। তাই ছবি তুলুন আর উপরের সাইট গুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন।

রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকি পূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন আপনি ৫০ টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন সেটা আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রেসলিং ব্যবসার মডেল। আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারেন। এরপর যখনই অর্ডার পাবেন তখন কম দামে ওই পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবেন। ব্যবসার সুবিধা হল আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।

মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম

আমরা জানি বিকাশ একটি লেনদেনের অ্যাপস মাত্র। কিন্তু এই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেও আপনি চাইলে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেই কিভাবে মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম করা যায়। বিকাশ দিয়ে টাকা আয় করা একদম সহজ একটি কাজ। সাধারণত বিকাশ অ্যাপ রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। প্রতিটি রেফার সম্পন্নভাবে করতে পারলে বিকাশ আপনার একশ টাকা বোনাস দিবে।

প্রথমে বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করে ডান দিকের লোগোতে ক্লিক করুন। তারপর রেফার বিকাশ এক অপশন হতে রেফার এ ক্লিক করুন। প্রাপ্ত রেফার লিংকটি আপনি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। যেমন – এসএমএস, ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমু ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করুন। শেয়ারকৃত রেফার ব্যবহার করে যদি কেউ বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তুলে একটি একাউন্ট খুলেন এবং লগইন করেন, তাহলে যিনি লগইন করবেন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ টাকা পেয়ে যাবেন। তা ছাড়া যে কোন পরিমাণ মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে তিনি আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়ে যাবেন। এতে আপনি পাবেন সমপরিমাণ বোনাস।

অ্যাপস দিয়ে মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম 

এ পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। স্মার্ট ফোন দিয়ে টাকা আয় করার অগণিত  অ্যাপ থাকলেও অল্পসংখ্যক অ্যাপ রয়েছে যা বিশ্বস্ত। ফুল টাইম হিসেবে এগুলো না নিলেও হাত খরচের টাকাটা অন্ততপক্ষে পাওয়া যায়। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার কিছু অ্যাপের তালিকা ও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পোল পে: এই অ্যাপসটি সাধারণত ব্যবহারকারী মতামত, মন্তব্য রিভিউ প্রদানে ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনার অর্জনকৃত টাকা তুলতে পারবেন গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্স বক্স এর গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি চাইলে গিফট কার্ডটি বিক্রি করে দিতে পারেন বা কোন কিছু অনলাইন থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন।

পকেট মানি: এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন প্রকারের গেম খেলা, সার্ভেফ্রম সম্পূর্ণ করে ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আয় করা সম্ভব। তাছাড়াও আপনি অ্যাপসটির লিঙ্ক রেফার করে বোনাস হিসেবে ১৬০ টাকা পেতে পারেন। রিসার্চের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।

গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ড: এই অ্যাপটিও প্রায় পোল পে অ্যাপ এর মত হুবহু কাজ করে। বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন করার মাধ্যমে গুগল প্লে টাকা প্রদান করে থাকে।

ড্রাইভিং করে টাকা আয়

সস্পতি দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস গুলো যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নতি নিয়ে এসেছে। আপনার যদি রাইড শেয়ারিং করার মত একটি যানবাহন ও একটি স্মার্টফোন থাকে তবে এখনি আয় শুরু করতে পারবেন। পাঠাও উবার এর মত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে কাজ করা যায় পার্ট টাইম। যদি আপনি ইনকামের একটি আলাদা সোর্স খুঁজে থাকেন তবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি তাহলে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়।

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা শেয়ার করতে যাচ্ছি মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে আয় সম্পর্কে আলোচনা। অনলাইনে ছোটখাটো প্রচুর কাজ রয়েছে যেমন ভিডিও দেখা, অ্যাপ ইন্সটল, কমেন্ট করা, পোস্ট শেয়ার, সার্ভে ইত্যাদি। এ সকল ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট টাকা প্রদান করে থাকে। আর এসব সাইটকে বলা হয় মাইক্রো ওয়ার্ক সাইট। এই সাইটগুলোর সুবিধা হচ্ছে যে কোন ডিভাইস বা মোবাইল দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তার মধ্যে কিছু মাইক্রো ওয়ার্ক সাইট যেমন- মাইক্রো ওয়ার্কার্স, পিকো ওয়ার্কার্স ইত্যাদি।

ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ব্যাংক যে টাকা রাখার বিনিময়ের সুদ প্রদান করে এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ লাভ করতে প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ। এ ছাড়া অনেকে সুদ অপছন্দ করেন। ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে লাভ দিতে পারে। ইনভেস্টমেন্ট সাইট অনেক থাকলেও অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা। তাই যে কোন ইনভেস্টমেন্ট সাইডে যেকোনো অংকের অর্থ ইনভেস্ট এর আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, সাইটটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।

ডেলিভারি সার্চ এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

বাংলাদেশ অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল বা বাইক এবং হাতের কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকে সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন ফুডপান্ডা, সহজ ফুড এর মত ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ পার্ট টাইম ও ফুল টাইম। আপনার ইচ্ছা মত যে কোন উপায়ে করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইনস্টাগ্রাম কেবলমাত্র ছবি বা ভিডিও শেয়ার সোশ্যাল মিডিয়া নয়। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার এখন অনলাইন ইনকাম করাও সম্ভব। ইনস্টাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি সুন্দর গোছানো প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আরো যা যা প্রয়োজন হবে তার নিচে তুলে ধরা হলো।

1. একটি আকর্ষণীয় ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করুন।
3. সবসময় আপনার পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন।
3. প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সুন্দর আঙ্গিকে পোস্ট করুন।
4. ফলোয়ারের সাথে এংগেজমেন্ট স্থাপন করুন। (যেমন কমেন্টের উত্তর দিন নিয়মিত )।
5. যে বিষয়ের উপর আপনার প্রোফাইল সাজিয়েছেন ঠিক সেরকম প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক অথবা ফলো করুন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিচে উপস্থাপন করা হলো।

1. অর্থের বিনিময়ে অন্যের প্রোফাইল প্রমোট করে।
2. বিজ্ঞাপন করে।
3. নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে।
4. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইত্যাদি।

অন্য সকল প্লাটফর্মের মতই ইনস্টাগ্রাম কনটেন্ট এর অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ইনস্টাগ্রাম এ একটিভ থাকলে কিছুদিনের মধ্যে ইনস্টাগ্রাম আইডি ভাইরাল বা জনপ্রিয় হতে থাকবে। সেই সাথে সাথে আপনার আয় বাড়বে।

ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিল। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব করে বসেই। দেশে ফেসবুকের অসংখ্য ইউজার রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারী হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার। ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই- কমার্স পেজের ক্যাটালগে অ্যাড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আনা সম্ভব, সে সব জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবে না। বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃত্তির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ড এর কথা মাথায় রেখে আপনিও মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন।

Read More