ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষকেই পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে কোন না কোন ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছেন। তার অন্যতম কারণ হলো ভেজালের যুগ। তবে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগে শিশুর। অনেক সময় বাড়ন্ত বাচ্চারা  এই ঘাটতির শিকার হয়।  এর পরেই রয়েছে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা। ষাট বছর বয়সের পরে শরীরে ভিটামিন ডি এর ক্ষমতার হ্রাস পায়। ফলে শরীরে অনেক সময় ভিটামিন ডি এর  ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। এই ভিটামিন ডি এর অভাব ঘিরে সংকট এখন ঘরে ঘরে। নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয় এই ভিটামিনের অভাবে। তবে সঠিক নিয়মে সূর্যালোক ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে এর ঘাটতি সহজে মেটানো যায়।

সম্মানিত পাঠক। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। পোস্টটি হল ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয় কি? আজ আমরা আপনাদের মাঝে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কি করতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে আর বেশি দেরি না করে চলুন নিচে থেকে দেখে নেয়া যাক ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করনীয়। 

ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়

ভিটামিন ডি সম্পর্কে জানার পূর্বে ভিটামিন কি  এবং কেন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে জানা দরকার। খাদ্যের সাতটি প্রয়োজনীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন। যা দেহের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন মূলত দুই ধরনের। যেমন-

1. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যা শরীরের মধ্যে বেশি সময় পর্যন্ত জমা থাকে না। তাই এই জাতীয় ভিটামিন  সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত। যেমন- ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি।

2. চর্বিদের দ্রবণীয় ভিটামিন যা শরীরের মধ্যে জমা থাকে। এ জাতীয় ভিটামিন হলো চারটি। যেমন- ভিটামিন এ, ডি, ই,কে।

এই পোস্টে আমরা শুধু মাত্র ভিটামিন ডি নিয়ে আলোচনা করব যা অন্যান্য ভিটামিনের তুলনায় কিছুটা আলাদা প্রকৃতির তবে শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সরাসরি খাবার থেকে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় না। প্রায় ৯০% সূর্যের তাপের সহায়তায় শরীরে উৎপন্ন হয়, আর মাত্র ১০% খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। শরীরে এই ভিটামিন যথেষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন হওয়ার জন্য সূর্যের তাপ বিশেষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। শারীরিকবৃত্তীয় নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। আবার এর অভাবজনিত কারণে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকল মানুষের শরীরে দেখা দিতে পারে নানাবিধ সমস্যা। মহামারী করোনা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বেলায়ও রয়েছে এই ভিটামিনের কার্যকারিতা। তাই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা এড়াতে ব্যতিক্রমী এবং গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিন ডি সম্পর্কে সকলেরই প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখা  উচিত।

ভিটামিন ডি অভাবের  লক্ষণ

ডাঃ  রুদ্রজিৎ পাল জানালেন, ভিটামিন ডি কম থাকলে অনেক জটিলতা  দেখা দেয় শরীরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়।

1. দুর্বলতা।

2. গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা।

3. হাড়ের ক্ষয়।

4. ছোটখাটো আঘাতেই ফ্লাক্সার।

5.  হাড়ে কটকট শব্দ হওয়া।

6. ছোটদের ক্ষেত্রে উচ্চতা না বাড়া ইত্যাদি।

 এ ধরনের লক্ষণ দেখতে পেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কেন শরীরে ঘাটতি হয়?

ডাক্তার রুদ্রজিৎ পালের মতে, নানা কারণে শরীরে এর ঘাটতি হতে পারে। মূলত পুষ্টির অভাব হলে হয়। আমিষ খাবার থেকে পাবেন এই ভিটামিন। আমিষ খাবার কম খেলে এমনটা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু জিনগত অসুখের কারণেও  ভিটামিন ডি শরীরের কাজ করতে পারে না। সূর্যের আলো শরীর না পেলেও ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে। ডাক্তার রুদ্রজিৎ পাল জানান, শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা প্রচুর। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ ইউনিট প্রয়োজন হয়। সূর্যের আলোয় দাঁড়ালে ভিটামিন ডি মেলে। তবে খুব বেশি একটা নয়। তবুও শরীরে এর ঘাটতি মেটাতে চাইলে রোদে বের হতে হবে। মুখ ও বুকের দিকের অংশ ডেকে রোদে দাঁড়াতে হবে। শীতে দুপুরের দিকে  রোদ পোহালে ভালো হয়। 15 থেকে 20 মিনিট রোদে থাকুন। ডিম, দুধ, মাছ, বা দুগ্ধজাত খাবার ( ছানা, মাখন ) ইত্যাদি। এছাড়া মাংস ও সোয়াবিনে মিলবে সামান্য ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়

ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি অনেকের শরীরে কম। কিন্তু অনেকেই তা জানেন না। এ প্রসঙ্গে কলকাতার শহরে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন এই ভিটামিন  শরীরে থাকতেই হবে। এর অনেক কাজ রয়েছে। এই ভিটামিন ক্যালসিয়ামকে হাড়ে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেশির কাজেও ভীষণ প্রয়োজন। আবার দেখা গিয়েছে,  জিন গঠনের নানা প্রক্রিয়ায় এর ব্যবহার রয়েছে। যেহেতু অনেকেই তা জানেন না শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেছে। তাই  সতেচন থাকতে হবে এবং উপসর্গ আগে থেকে জানা থাকলে আরো ভালো।

কিভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা গিয়েছে

মজবুত  হাত ও দাঁতের জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। খাদ্য সহজলভ্য নয় বলে অনেকের মধ্যেই এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা তা বুঝবেন কি করে? তাহলে চলেন সে সম্পর্কে নিচে থেকে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

সব ভিটামিনের তুলনায় ভিটামিন ডি একটু আলাদা। অন্যসব ভিটামিন খাবারে নিয়মিত পাওয়া গেলেও ভিটামিন ডি এর মূল হচ্ছে উৎস সূর্যের আলো। খাদ্য সহজলভ্য নয় বলে অনেকের মধ্যেই এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়। গবেষণামতে, প্রতি চার হাজারের মধ্যে একজনের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকতে পারে। মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য যেমন, তেমনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। সুস্থ থাকতে তাই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকা জরুরি। কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা বুঝবেন কি করে? রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কোন ভিটামিনের মাত্রা কেমন জানা সম্ভব। এছাড়া কিছু উপসর্গ থেকে ভিটামিন ডি এর অভাব বোঝা যায়। সেগুলো হল-

অনিদ্রা: ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। নিদ্রা চক্র বজায় রাখতে মেলাটোনিন প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে তাই ঘুমের সাথে দেখা যায়।

পেশিতে টান:  দেশের গঠন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে  পেশিতে টান খাওয়া, জোর কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা ও দেখা দেয়।

 হাড়ের ব্যথা:  ভিটামিন ডি এর মূল কাজ হল হাড়ের ক্ষয় রোধ  করা। অতএব এর অভাব দেখা যাওয়া মানেই হারের সমস্যা শুরু হওয়া। ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের জোর কমে যাওয়া, হাড়ের গিটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।

ক্লান্তি:  প্রতিদিনের নিয়মিত কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাচ্ছেন, ক্লান্তি ভর করছে শরীরে। ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে এমনটা দেখা যেতে পারে।

ডার্ক সার্কেল: ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, নিদ্রা নষ্ট হয়ে যায়। ঘুম কম হওয়ার প্রভাব পড়ে চোখের নিচে। কম  ঘুমের প্রভাবে অনেকের চোখের নিচে কালী পরতে দেখা যায়।

মানসিক অবসাদ:  ভিটামিন ডি এর সঙ্গে মানসিক অবসাদের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও গবেষণায় কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছে, যে ভিটামিন ডি এর অভাবে  মানুষ অবসাদে ভোগে।

চুল পড়া:  মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি খুব প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে নতুন চুল তৈরি ব্যাহত হয়। চুল পড়া সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতি নতুন চুল না গজায় সে ক্ষেত্রে মাথায় টাকও  পড়তে পারে।

শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব বুঝবেন  যেসব লক্ষণে

1. ভিটামিন ডি এর অত্যাবশ্যকীয় অভাবে পা এর হাড় ধনুকের মতো ডেকে যেতে পারে। 

2.এছাড়াও গিটে ব্যথা এবং বৃদ্ধদের বাতের সমস্যা ভুগায়।  থাইরয়েডে সমস্যা, মেরুদন্ডে ব্যথা ও অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে।

3. ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া এবং বিভিন্ন রোগ সারতে দেরি হওয়া শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে।

4. অকারনে ক্লান্তি ভাব, ঝিমুনি এবং শুয়ে বসে থাকার ইচ্ছে হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে।

5. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ভিটামিন ডি এর অভাবে। ঘা শুকাতে অনেকটাই সময় লেগে যায়।

6. অতিরিক্ত চুল সমস্যা দেয় অনেকের। খাবারের ভিটামিন ডি কম হলে চুল ঝরে যেতে পারে।

7. এছাড়াও শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাব, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণও হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবে।

8. হঠাৎ ওজন কমতে থাকা শরীরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করার পরও ওজন কমা ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে।

কার শরীরে কতটুকু ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন এর প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে বয়স অনুযায়ী। পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক  ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি ও ১০০০ মাইক্রগ্রাম ক্যালসিয়াম এর চাহিদা থাকে। অন্যদিকে ৭০ এর বেশি বয়স তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০ মাইক্রগ্রাম। বয়স অনুপাতে ভিটামিন ডি এর ডিমান্ড ২৫ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম।

ভিটামিন ডি এর উপকারিতা

শরীরে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

1.  অন্তের মাধ্যমে  ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ এবং রক্তে এদের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই উপাদান দুটি (ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস )  দাঁত ও হাড়ের গঠন, হাড়ের সঠিক ঘনত্ব বজায় রাখা ও হাড়ের ভঙ্গুরতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সেই সাথে মাংসপেশির সঠিক গঠনেও ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

2. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে কিনা তা জানতে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। সরীক্ষায় দেখা গেছে যে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি নেই তাদের  কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তবে কিভাবে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সে ব্যাপারে এখনো গবেষণা বিদ্যমান রয়েছে।

3. বিভিন্ন বয়সের ১৫৯ জন পুরুষ ও ২৮২ জন মহিলার উপরে দীর্ঘ এক বছর  যাবৎ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে  যাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে  তারা বিষন্নতায় কম ভুগছেন। কারণ তাদের চিন্তা ও বিষন্নতা কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

4. যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য ভিটামিন ডি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষত এটি  ক্ষুদার অনুভূতি কমাতে সহায়তা করে এবং ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

5. বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যায় যাদের শরীরে কখনো ভিটামিন ডি এর অভাব/ ঘাটতি দেখা যায়নি তাদের হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। কারণ হার্টের বিভিন্ন রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক ও  উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে এটি সহায়তা করে।

6. শরীরে দুই ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। জন্মগত ভাবে পাওয়া (innate system) ও পরবর্তী সময়ে অর্জিত ( Adaptive System ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা মানুষের শরীরে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই দুই প্রকারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন ডি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি বিভিন্ন  জটিল প্রকৃতির ( autoimmune disease) প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

7. Testosterone বৃদ্ধিতে  সহায়তা করে যা পুরুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন। এছাড়াও  শুক্রাণুর গুনাগুন (sperm quality) বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যায় সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রয়োজন।

Read More